ঝালকাঠিতে অসহায় নারী মুচিকে দোকান উপহার Latest Update News of Bangladesh

সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১:২৮ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- inbox.voiceofbarishal@gmail.com অথবা hmhalelbsl@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩
সংবাদ শিরোনাম:
আইপিএল নিলামে বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের প্রতি আগ্রহ নেই শেবাচিম হাসপাতালে পরিচালকের দায়িত্ব নিলেন ব্রিঃজেঃ একেএম মশিউল মুনীর ‘সংস্কারের পাশাপাশি অবাধ নির্বাচনের ব্যবস্থা করা জরুরি’ : তারেক রহমান পিরোজপুরে ২৪ বছরেও সম্পন্ন হয়নি আয়রন ব্রিজ নির্মাণ কাজ, জনদূর্ভোগ চরমে বরিশালে তথ্য মেলা: দুর্নীতি প্রতিরোধে জোরালো পদক্ষেপ মমতার বাঁধায় বন্ধ হতে পারে বাংলাদেশে আলু রপ্তানি ! কাউখালী উপজেলা জামায়াত ইসলামীর কমিটি গঠন বিএনপির শোক মিছিলে হামলা: রিমান্ডে হাসানাতপুত্র মঈন আব্দুল্লাহ খুনি হাসিনার পুনর্বাসন, জীবন দিয়ে প্রতিরোধ করবে শহীদ ফাউন্ডেশন: সারজিস আলম নতুন কমিশনের দায়িত্ব ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা: রাষ্ট্রচিন্তা পরিষদ




ঝালকাঠিতে অসহায় নারী মুচিকে দোকান উপহার

ঝালকাঠিতে অসহায় নারী মুচিকে দোকান উপহার

ঝালকাঠিতে অসহায় নারী মুচিকে দোকান উপহার




ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ কিছুদিন আগেও ঝালকাঠি সদর উপজেলার বাউকাঠি বাজারের কাছে ফুটপাতে জুতা সেলাই করে সংসার চালাত সবিতা রানী দাস। রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে চলতো তার নিত্য দিনের কাজ।

 

নারী মুচির এ দুর্দশার কথা শুনে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে এগিয়ে এলেন ঝালকাঠি পৌর যুবলীগের যুগ্মআহ্বায়ক বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ছবির হোসেন। তিনি নিজস্ব অর্থ ব্যয়ে দেড় লাখ টাকায় সবিতাকে দোকান ঘর, সাজসরঞ্জাম ও মালামাল কিনে দিয়েছেন। বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে সাবিতার কাছে দোকানটি হস্তান্তর করা হয়। ফলে বাবার মৃত্যুর ১২ বছর পর অবসান হলো সবিতার ফুটপাতের জীবন।

 

 

কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সবিতা বলেন, বাবা মারা যাওয়ার পরে ১২ বছর ধরে আমি মানুষের জুতা সেলাই করে কোনো রকমে সংসার চালাচ্ছি। কখনো তিন বেলা খেয়েছি, কখনো রোজগার না হওয়ায় না খেয়েই থাকতে হয়েছে। একটি খুপড়ি ঘরে পলিথিনের বেড়া দিয়ে এখনো বসবাস করছি।

 

 

 

আমি যেভাবে কষ্ট করে জীবন যাপন করেছি, আর কোনো নারীর যেন এমনটি না হয়। আমি একজন সফল ব্যবসায়ী হতে চাই। পলাশ রায়ের মাধ্যমে আমাকে আজকে ছবির ভাই সহযোগিতা করেছেন। আমিও চেষ্টা করবো একদিন অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে।

 

 

ব্যবসায়ী ছবির হোসেন বলেন, আমার বন্ধু পলাশ রায়ের মাধ্যমে খবর পেয়ে সবিতাকে একদিন দেখতে আসি। সে দুপুরে খাবার খাওয়ার টাকাও রোজগার করতে পারেনি দেখে খুবই কষ্ট পেলাম। নিজের বিবেকের তাড়নায় সবিতাকে একটি দোকান ঘর কিনে তাতে মালামাল কিনে দিয়েছি। এখন নিশ্চিন্তে সে ব্যবসা করে রোজগার করতে পারবে।

 

 

সাংবাদিক পলাশ রায় বলেন, সবিতা রাষ্ট্র ও সমাজপতিদের ওপর সংক্ষুব্ধ ছিল। তাকে কেউ কখনো সহযোগিতা করেনি। আমি তার দুঃখ দুর্দশার কথা আমার বন্ধু ছবির হোসেনকে বলেছি। সে সবিতার সব খবর নিয়ে তাকে একটি দোকান ও মালামাল কিনে দিয়েছে। এখন হয়তো সবিতার কষ্টের দিন কেটে যাবে।

 

 

নবগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান আকন্দ বলেন, সবিতার জীবন সংগ্রাম আমরা দেখেছি। তাকে সাধ্যমত সহযোগিতা করেছি। তবে ছবির হোসেন তাকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য যে উদ্যোগ নিয়েছে, এটা প্রশংসনীয়। এখন তাকে কেউ একটি বসতঘর তুলে দিলেই রাতে নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারবে।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD